Pratiswik
  • হোম
  • লেখকসূচি
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্প
    • উপন্যাস
  • নাটক
  • প্রবন্ধ
  • বইকথা
  • গদ্য
    • মুক্তগদ্য
    • অন্যগদ্য
  • অনুবাদ
  • চলচ্চিত্র
  • চিত্রকলা
  • সাক্ষাৎকার
  • অনূর্ধ্ব ২৭
  • বিশেষ সংখ্যা
  • সাহিত্য সংবাদ
কিছু পাওয়া যায়নি
সব লেখা দেখুন
  • হোম
  • লেখকসূচি
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্প
    • উপন্যাস
  • নাটক
  • প্রবন্ধ
  • বইকথা
  • গদ্য
    • মুক্তগদ্য
    • অন্যগদ্য
  • অনুবাদ
  • চলচ্চিত্র
  • চিত্রকলা
  • সাক্ষাৎকার
  • অনূর্ধ্ব ২৭
  • বিশেষ সংখ্যা
  • সাহিত্য সংবাদ
কিছু পাওয়া যায়নি
সব লেখা দেখুন
Pratiswik
কিছু পাওয়া যায়নি
সব লেখা দেখুন
বিজ্ঞাপন
ADVERTISEMENT
হোম অনূর্ধ্ব ২৭
নিছক গল্প নয়, জীবনের আধার রূপকথা

নিছক গল্প নয়, জীবনের আধার রূপকথা

আরমিন হোসেন আরমিন হোসেন
আগস্ট ২২, ২০২০
বিভাগ : অনূর্ধ্ব ২৭, প্রবন্ধ
167
Views
ফেসবুকটুইটারহুয়ার্ট্সঅ্যাপলিংকইন্ডই-মেইল

মানুষের গল্প শুনবার আগ্রহ থেকেই রূপকথার কাহিনির জন্ম। পৃথিবীর সব দেশেই গল্প বলার রীতিনীতি প্রচলিত আছে। গল্প শোনার আগ্রহ মানুষের এক সহজাত প্রবৃত্তি। বুদ্ধি বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রবৃত্তি ক্রমশ মার্জিত হয়ে নতুন নতুন বিষয়বস্তুর সন্ধান ও নতুন উপায়ে তাদের পরিবেশন করার কৌশল আয়ত্ত করা হলেও লোকসমাজের সাধারণ স্তরে রস গ্রহণের যে একটি সাধারণ মান আছে, তার ওপর লক্ষ রেখে প্রত্যেক দেশেই একটি লৌকিক কথাসাহিত্য গড়ে উঠেছে- তা প্রত্যেক জাতিরই অমূল্য সম্পদ। গদ্য ও পদ্য উভয় রচনার ভিতর দিয়েই লৌকিক কাহিনি বর্ণনা করা হয়ে থাকে; পদ্যের ভিতর দিয়ে যা প্রকাশ করা হয় তা গীতিকা ও এপিক নামে পরিচিত; গদ্যের ভিতর দিয়ে যে কাহিনি প্রকাশ করা হয় তাকে বলা হয় ইংরেজিতে Folktale.

রূপকথাগুলো শুধু নিছক গল্প কিংবা বিনোদনের মাধ্যমই নয়, যা থেকে শেখার আছে অনেক কিছুই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়ের সুর করে পড়া লক্ষ্মীর পাঁচালী আর নানা-নানি, দাদা-দাদির বলা রাজা রাজকন্যা রাজকুমার রাক্ষুসীর গল্পের আমন্ত্রণে আসা সন্ধ্যা ও ঘুমের চোখে আবছায়া কৌতূহলী কল্পনার মিশ্রণ অকপটে স্মরণ করিয়ে দেয় শৈশবকে। যা থেকে প্রথম ঘটেছিল মননের বিকাশ। গল্পের ছলে নানা ঘাত-প্রতিঘাত, সমস্যা ও আনন্দের বিষয়গুলো শিক্ষণীয় ছিলো। রূপকথার গল্প আমাদের ভালো খারাপের পার্থক্য শেখায়, জীবনকে নানা দিক থেকে অনুধাবন করার দোয়ারগুলো খুলে দেয়।

‘যে স্নেহ দেশের রাজ্যশ্বর রাজা হইতে দীনতম কৃষককে পর্যন্ত বুকে করিয়া মানুষ করিয়াছে, সকলকেই শুক্ল সন্ধ্যায় আকাশের চাঁদ দেখাইয়া ভুলাইয়াছে এবং ঘুমপাড়ানি গানে শান্ত করিয়াছে, নিখিল বঙ্গদেশের সেই চির পুরাতন গভীরতম স্নেহ হইতে এই রূপকথা উৎসরিত। অতএব বাঙ্গালীর ছেলে যখন রূপকথা শুনে তখন কেবল যে গল্প শুনিয়া সুখী হয়, তাহা নহে-সমস্ত বাংলাদেশওে চিরন্তন স্নেহের সুরটি তাহার তরুণ চিত্তের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তাহাকে যেন বাংলার রসে রসাইয়া দেয়।’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

রূপকথা মানেই জীবনের হাতেখড়ি, মনের অব্যক্ত কথাগুলো ব্যক্ত করার অন্যতম মাধ্যম হলো রূপকথা। অনেকসময় দাদা-দাদি, নানা-নানিরা তাদের জীবনের আকাঙ্ক্ষা, না পাওয়া ভালোবাসার চরিত্রকে রাজকন্যা ও রাজপুত্রের রূপকার্থে গল্প বানিয়ে নাতি নাতনিকে শোনায়। তাদের জীবনাশ্রিত কাহিনি রূপকথার কাহিনি হয়ে শৈশবের কল্পনায় জীবন্ত হয়ে থাকে। তারাই রূপকথার গল্পের আদি কথক। তাদের বিনিসুতোয় গাঁথা গল্পের মালা বোনা যে শেষ হয় না কখনো- অনন্ত একটা জীবন ধরে তো বটেই। এ যে অন্তহীন দ্রৌপদীর শাড়ির মতোই! রূপকথার গল্পের রসদ জমা থাকে কালের গর্ভে যাপিত জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কোটরে।

আধুনিক যুগে এসেও রূপকথার গল্পগুলো ঠিক ততটাই আছে যতটা অতীতে ছিলো, তবে সময় পেরিয়ে কাহিনিগুলোর নিউ ফর্মে উপস্থাপিত হচ্ছে। গল্পগুলো যদি নিছক কাহিনিই হতো তবে বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত অত্যাধুনিক অবদানগুলোর পাশাপাশি কবেকার তৈরি কাল্পনিক কাহিনিগুলো টিকে থাকতো না। রূপকথাগুলো তো নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেই তার পাশাপাশি এ থেকে আইডিয়া নিয়ে কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন মুভি নির্মাতারা সেই ঐতিহ্যিক ধাচে এবং সমসাময়িক বিষয়টিকে মাথায় রেখে নির্মাণ করছে নতুন নতুন কাহিনির ভিজুয়্যাল ফর্ম। একটা সময় আমরা শুধুমাত্র কল্পনাই করতাম যে, রূপাঞ্জেলের লম্বা চুলের সৌন্দর্য কতটা মনোমুগ্ধকর। এমনকি বাস্তবেও আমরা কারও লম্বা চুল দেখলে রুপাঞ্জেল চরিত্রটির সাথে তুলনা করতাম। এছাড়াও রাজা রাজপুত্রের সুঠাম দেহ, সাহসিকতা; অশুভ শক্তির প্রকোপ, রাজকন্যার রূপ-লাবণ্যের বর্ণনা আমাদের কল্পনায় নিজস্ব জগৎ তৈরি করে নিতো। আর এই কল্পনাকে অবলম্বন করে  নির্মিত কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন মুভি বিভিন্ন আধুনিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যস্তজীবন এবং যৌথ পরিবার ভেঙে পড়ার ফলে টিভি আর ইন্টারনেট যেন আমাদের আরও কাছের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হয়ে উঠেছে। আজকাল মা-বাবার কাছে সন্তানকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই, ফলে তারা একাকিত্ব বোধ করে এবং পর্যাপ্ত খেলাধুলা করার সুযোগ না থাকার ফলে সেই একাকিত্ব বোধ দূর করতে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগে যেমন রূপকথার গল্পের লোভ দেখিয়ে আমাদের অনিচ্ছার কাজগুলো অনায়াসেই করানো হতো, এখন বর্তমান যুগে এসে তার কর্তৃত্ব পরিবর্তিত হয়ে এসেছে টিভির রিমোট এবং ইন্টারনেটে ওপর। ঠাকুরমার ঝুলি কার্টুন বাংলায় টিভিতে প্রচারিত হয়। শুধুমাত্র ঠাকুরমার ঝুলি নয় সমৃদ্ধ অন্যান্য লোককাহিনি, যেমন : পশুকাহিনি, পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনেও তৈরি করা হচ্ছে কার্টুন। এছাড়াও রূপকথার গল্পগুলোকে চলচ্চিত্রে নির্মণে নিয়ে আসার পিছনে দ্যা ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির ব্যাপক অবদান রয়েছে। ওয়াল্ট ডিজনির  প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস ১৯৩৭ সালে মুক্তি পায় এবং রূপকথার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী চলচ্চিত্র হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে সিন্ড্রেলা (১৯৫০), স্লিপিং বিউটি (১৯৫৯), বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট (১৯৯১) নির্মাণ করা হয়। ডিজনির প্রভাব রূপকথার ধরনটিকে শিশুতোষ ধরন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে। এমনকি অনেকেই মনে করেন রূপকথার সরলীকরণ ডিজনির অনেক পূর্বেই হয়েছে, এর কিছু কিছু আবার গ্রিম ভ্রাতৃদ্বয় নিজেরাও করে গেছেন। ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে যখন বিটিভিতে ‘সামুরাই এক্স:বিশ্বাস এবং বিশ্বাসঘাতক’ সিরিজ প্রচার করা হতো। গল্পের নায়ক কেনশিন এর সামুরাই হয়ে ওঠার কাহিনি এবং কীভাবে সে তার গালের এক্স মার্কটা পেয়েছিল তা নিয়েই সিরিজটি। পরবর্তীতে আরও আধা ঘণ্টার সিন যুক্ত করে মুভি হিসাবে সিরিজটিকে মুক্তি দেওয়া হয়। আজ এত বছর পরে এসেও অনলাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে সার্চ দিলে বোঝা যায় এর জনপ্রিয়তা এখনও কতটা আছে। ২০১২ সালে (১৩ বছর পরেও) imdb তে এর rating 8.4 ছিলো। ঠাকুরমার ঝুলি এবং সেকুলার চিন্তা ধারার মিশ্রণে তৈরি কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন মুভিগুলো ছোটো বড়ো সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়।

রূপকথার গল্পগুলোর ছোঁয়া এখনও মানব জীবনে রয়েছে। কখনও তা সরাসরি প্রতিফলিত হয় আবার কখনও বা আকাঙ্ক্ষা রূপে। এ গল্পগুলোতে কাল্পনিক চরিত্রের মাধ্যমে যে সামাজিক, পারিবারিক চিত্র ফুটে উঠে যেন সর্বকালের বাস্তবতার সাথে মিলে যায় এবং অলৌকিক শুভ শক্তিগুলো বর্তমান অরাজকতাময় সমাজ প্রেক্ষাপটে শান্তিপ্রিয় মানুষের আকাঙ্ক্ষা রূপে প্রকাশ পায়- যদি সোনারকাঠি রুপারকাঠি থাকতো তবে এক নিমিষেই ধর্ষণ খুন সমাজ থেকে নির্মূল করা যেতো, রাজকুমারীর মতো প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি প্রতিবাদী সাহসী নারী থাকতো তবে নারী নির্যাতন আর হতো না, ডালিম কুমারের মত এমন কোন কাণ্ডারী আসতো তবে অন্যায়ে ভরা এই ঘুমন্ত সমাজ জেগে উঠতো। রূপকথা মানে সেখানে রাজকন্যা থাকবে, রাজপুত্র থাকবে, থাকবে রাজা-রানি, রাক্ষস-খোক্ষস, ডাইনি, দৈত্য-দানব, পরি, ভূত-পেত্নীসহ বিভিন্ন অশরীরী চরিত্রের মেলবন্ধন। কাহনিগিুলোতে পশু-পাখির ব্যতিক্রম ভূমিকা লক্ষণীয়। এদেরকে বেশিরভাগ সময় মানুষের মতো আচরণ করতে দেখা যায় ।যেমন : বিপদের আভাস দেওয়া, খবর আদান প্রদান, ভবিষ্যৎবাণী করা ইত্যাদি। যা শৈশবের আকর্ষিত মনে চিন্তার বীজ বুনে দেয়। দুষ্টের দলন, শিষ্টের পালন, লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু, অনাড়ম্বর জীবন যাপনের মাঝেও সততা, নৈতিকতা বাঁচিয়ে রাখা এমন অনেক নীতিবাক্যের পাঠে গড়ে উঠেছে এসব গল্প যা আমাদের চরিত্র গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাংলায় প্রচলিত লোককাহিনি বিশেষ করে রূপকথার কাহিনি বাংলার অন্তর্বাহী স্রোতের পরিচয় বহন করে। আর এই রূপকথার ভাণ্ডার যে কতটা ঐশ্বর্যপূর্ণ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘ঠাকুরমার ঝুলি’। এটি শুধুমাত্র রূপাকথার সংকলন নয়, এর কিছু মৌলিক গুণাগুণ রয়েছে। রূপকথার একটি লোকপ্রিয় কল্পনা হলো- ‘সোনার কাঠি রূপার কাঠি’। যার অলৌকিক ছোঁয়ায় অনন্তকালের জন্য ঘুমন্ত রাজকন্যা জেগে উঠে। আবার ‘ঘুমন্তপুরী’ রূপকথাটি খুব আশ্চর্য রহস্যে না চাইতেই সব পাওয়ার দেশে টেনে নিয়ে যায় আমাদের। গল্পটির সাথে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার তুলনা দেওয়া যেতে পারে, আমরা রূপকথার সেই ঘুমন্ত পুরাবাসীদের মতোই মরণ ঘুমে আছি। আমাদের মতামতের কোনো জায়গা নেই, নেই কোনো প্রতিবাদের স্থান, নেই প্রশ্ন। গল্পটিতে রাজপুত্র যেমন ঘুমন্তপুরীকে জাগিয়ে তুলেছিল, ঠিক তেমনি কোনো একজন কাণ্ডারী প্রতিবাদের স্বরে আমাদের দুর্নীতি, ধর্ষণ, অরাজকতার সমাজে সচেতনতার দ্বার খুলে দিতে পারে। জাগ্রত করতে পারে আমাদের ঘুমন্ত বিবেকবোধকে। আধুনিক যুগের এতটা সময় পেরিয়ে এসেও সমসাময়িক আরাজকতার বিপরীতে অনেকে রূপকার্থে ফেসবুকে পোস্ট করে সোনার কাঠি রূপার কাঠি, ডালিম কুমারকে নিয়ে। ‘সুখু আর দুখু’ গল্পটিতে তাঁতির বড়ো স্ত্রীর সতিনের প্রতি ঈর্ষার কাহিনি বর্ণিত রয়েছে। কাহিনিটি শুধুমাত্র রোমাঞ্চকর অবাস্তবতাকে আশ্রয় করে আবর্তিত নয়, জীবনের বাস্তবতার মাত্রা এতে অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। সৎ মা বলতেই হবে কর্কষ, নিষ্ঠুর। সতিনের সন্তান যতই গুণবান হোক না কেন তার কাছে চোখের বালি হয়েই থাকবে। গল্পটির স্বার্থত্যাগী চরিত্র দুখু সৎমা ও বোনের কাছে অবহেলিত। এতে বর্তমান সমাজচিত্র ফুটে ওঠার পাশাপাশি মোরালিটিও রয়েছে। ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা ফলাফল যে কতটা ভয়াবহ তা এই গল্পটির শিক্ষণীয় বিষয়। আমরা আমাদের আশেপাশে খেয়াল করলে এমন অনেক মানুষকে দেখতে পাবো যারা নিজের অবস্থানের চেয়ে অন্যের সাফল্যের দিকে বেশি লালায়িত। যার পরিণাম বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘কিরণমালা’ গল্পটি এক দরিদ্র গৃহস্থের কন্যার স্বপ্ন দিয়ে শুরু, যদি সে রাজাকে বিয়ে করে রানি হতে পারতো! প্রতিটি নারীই স্বপ্নে দেখে রাজার মতো রূপে সাহসে উদার মনের স্বামী পেতে। এই স্বপ্ন যেন সর্বকালের নারীকুলের জন্য শ্বাশত সত্য। কিরণমালার স্বপ্ন একদিন তাকে বাস্তবতার দ্বার প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। স্বপ্ন দেখায় নেই কোনো জাত, সম্প্রদায়ের বিভেদ। আর বড়ো স্বপ্নই মানুষকে বড়ো জায়গায় পৌঁছে দেয়, ইচ্ছাশক্তিই মানুষকে সাফল্য এনে দেয়। স্বার্থ এমন এক জিনিস যার দুচোখ কালো কাপড় দিযে বাঁধা থাকে, রক্তের সম্পর্কও সেখানে তুচ্ছ। কিরণমালা গল্পে সতিনের যন্ত্রণা থেকেও বড়ো হয়ে উঠে সহোদর বোনের আঘাত। নিজের বোনের রানি হওয়ার সুখ সহ্য করতে না পেরে কিরণমালাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে, যদিও তারা তাদের পছন্দানুযায়ী স্বামী পেয়েছিল। একটু লক্ষ করলে দেখা যায় যে, এটি অধিকাংশ নারীদের সহজাত প্রবৃত্তি, নিজের স্বামী রেখে অন্যের বরের ভালোবাসা দেখে আফসোস করে ইস আমার স্বামী যদি এমন হতো! বর্তমানে আফসোস শুধু আফসোসের জায়গাতেই নেই, খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় পরকীয়ার ভয়াবহ ঘটনাগুলো। সবকিছু মিলিয়েই আমরা নিজেদের কোন কিছু নিয়েই তৃপ্ত থাকি না। অন্যের সুখের মাঝে অনিষ্ট আনার মধ্যে পৈশাচিক আনন্দ বিষয়টিও গল্পটিতে প্রতিফলিত হয়েছে। কিরণমালা বাচ্চা প্রসব করলে তার বোনেরা রাজাকে মিথ্যে সংবাদ দেয়। বিড়াল ছানা, কুকুর ছানা, কাঠের পুতুল অর্থাৎ রানি কোন মানব সন্তান জন্ম দেয়নি। পরবর্তীতে রাজার এই ভুল ভাঙিয়ে দেয় সোনার পাখি। যেখানে মানুষের চেয়ে পাখি অধিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। গল্পটি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়টি হলো মানুষ যখন কোনো কিছু প্রমাণ বিবেচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেয় তখন তা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমনকি এই ভুল সিদ্ধান্তের ভুক্তভোগী হতে হয় নির্দোষী মানুষকে।

‘হাজার যুগের রাজপুত্র রাজকন্যা সবে
রূপসাগরে সাঁতার দিয়ে আবার এলো কবে।’

‘সোনার কাটি রূপার কাটি’ গল্পটির একাধিক ক্লাইমেক্স গল্পটিকে নতুন নতুন মোড় দিয়েছে। এতে কল্পনিক চিত্রের পাশাপাশি রয়েছে পারিবারিক চিত্র। কোনো পরিবারের ছেলে যদি কাজ কর্ম না করে বাপের হোটেলে খায় আর ঘুমায় তবে তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। এ গল্পে কোটাল, মন্ত্রী, রাজা ও সওদাগরের পুত্রের আলস্য তাদের দুশ্চিন্তার কারণ। এছাড়াও গল্পটিতে একজন নারীর জীবনে স্বামীর আদেশ ও সন্তানপ্রীতি দুটি দিকই সমানভাবে প্রকাশ পেয়েছে। রানি রাজার কথায় রাজপুত্রকে ছাই খেতে দিয়েছিল ঠিকই তবে থালায় ছাইয়ের পাশে খাবারও রেখেছিল। সুখ-দুঃখ সমস্তকিছু পাশে থেকে মোকাবিলা করাই বন্ধুত্বের ধর্ম। রাক্ষসী যখন এক এক করে তিন বন্ধুকে খেয়ে ফেলে আর এই ভয়াবহতা দেখে রাজপুত্রের ঘোড়াটিও তাকে পালিয়ে যেতে বলে। কিন্তু রাজপুত্র বন্ধুদের ছেড়ে যেতে আপত্তি জানায়।

বিজ্ঞানী ফ্রয়েডের অন্যতম একটি মতবাদ হলো মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব। যে তত্ত্বে সবকিছুকেই পদ্ধতিগতভাবে রীতিসিদ্ধ করে ফেলা যায়। এই গল্পটিকেও মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব দ্বারা বিচার করা যায়, রাজপুত্র যে আমগাছের ভিতরে আশ্রয় নিয়েছিল সে আম গাছকে মায়ের গর্ভের সাথে অর্থাৎ নিরাপত্তার আশ্রয়স্থল হিসাবে কল্পনা করা যায়। একইভাবে বোয়াল মাছের পেট, ঝিনুকের অন্তঃস্থলকেও নারীর গর্ভের সাথে তুলনা করা যায়।

‘আঁই লোঁ মাঁই লোঁ, মানুষের গন্ধ পাই লোঁ।’

এই কয়েকটি শব্দের লাইন শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা ছোটোবেলায় আমাদের দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধেও নানা রকম কাজ করিয়ে ফেলতেন। রাক্ষস-খোক্ষসের ভয়ংকর কাহিনি আমাদের শিহরিত করলেও এই রাক্ষস-খোক্ষসের কাহিনিই আমাদের কাছে বেশি রোমাঞ্চকর ছিলো। ভয়ের মাঝেও অদ্ভুত একটা কৌতূহল কাজ করতো। যেখানে রাক্ষসের তাণ্ডবের অপর পৃষ্ঠায় থাকতো রাজা, রাজপুত্রের বীরত্ব কিংবা রাজকণ্যার বুদ্ধিদীপ্ততার জয় আর অশুভ শক্তির পরাজয়।

‘রূপ দেখতে তরাস লাগে,বলতে করে ভয়
কেমন করে রাক্ষসীরা মানুষ হয়ে রয়।’

ঠাকুরমার ঝুলির রূপ-তরাসী পর্বের সবগুলো গল্পেই রয়েছে রাক্ষসীর তাণ্ডব। যেখানে রাক্ষসীরা বিরাজ করে ইচ্ছেধারী হিসাবে, কখনওবা ছদ্মবেশী রানি হয়ে। রাক্ষস-খোক্ষসদের বিরুদ্ধে লালকমল-নীলকমলের বীরত্বের কাহিনি এদেশের ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম, পাকিস্তানের আইয়ুব ইয়াহিয়া বিরোধী আন্দোলনের রূপক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে নানা গল্প, উপন্যাস, কবিতা কিংবা নাটক। ঔপনিবেশিক শক্তির প্রতীক হিসাবে রাক্ষস-খোক্ষস ও এদেশের সংগ্রামী জনতার বিজয়ী- বীরের প্রতিক হিসাবে লালকমল-নীলকমলের উপমা অনেকবারই ব্যবহৃত হয়েছে। ‘লালকমল-নীলকমল’ রূপগাথাটির প্রতি সকলের এতটা মুগ্ধতা রয়েছে যে বাঙালি মানসের আকাঙ্ক্ষা হয়ে দাঁড়ায় এমন বীরপুত্র।

‘নীলকমলের আগে লালকমল জাগে আর জাগে তলোয়ার,
দপ দপ করে ঘিয়ের দীপ জাগে কার এসেছে কাল?’

ছন্দ আর ভাষার অপরূপ কারুকাজ, বৈচিত্র্য শৈশব কিংবা কৈশর মানসে অপরূপ রূপকল্প তৈরি করে রূপকথা। এই কাহিনিটি ‘দুষ্টের দলন আর শিষ্টের পালন’ মোরালিটি বহন করে। যেখানে স্বয়ং পুত্র দাঁড়িয়েছে মায়ের বিরুদ্ধে। আর অশুভ অধিনশ্বর রাক্ষস-খোক্ষসের দমনের মাধ্যমে লালকমল নীলকমল রাজ্যে সুখের বার্তা বয়ে এনেছে। এছাড়াও সন্তানের প্রতি সৎ মায়ের চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিক্রীয়া লক্ষণীয়। ‘কবে সতীনের ছেলের কচি কচি হাড়-মাংসের ঝোল অম্বল রাঁধিয়া খাবো।’ অলৌকিকতার আদলে বাস্তব সমন্বিত এই রূপকথাটি ছোটো বড়ো সকলের মাঝে রূপকল্পতা সৃষ্টি করে।

‘কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা’ গল্পটি ঘটনা প্রবাহে একাধিক ক্লাইমেক্সে ভরপুর একটি গল্প। গল্পটি শুরু হয় দুই বন্ধুকে নিয়ে, একজন রাজপুত্র অন্যজন রাখাল। ক্ষমতা লাভের পর বন্ধুকে দেওয়া প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করা এবং প্রতিজ্ঞা ভঙ্গকারীর শাস্তি গল্পটিকে মোর রিয়েলিটি দান করেছে। অপরদিকে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার পরও বন্ধুর বিপদে এগিয়ে আসা গল্পটিতে বন্ধুর প্রতি বন্ধুর হৃদ্যতা প্রকাশ পেয়েছে। চতুরতা, ছলনা, নারী হয়েও নারীর সংসার ভাঙা ইত্যাদি মানব বৈশিষ্ট্যগুলোও লক্ষণীয়। কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা নিছক গল্পই নয় এটি যেন জীবনের প্রতিচ্ছায়া যেখানে কাঁকনমালা কৃতঘ্নের জ্বলন্ত উদাহরণ। আমরা উপকারীর উপকার স্বীকার করা তো দূরের কথা পারলে উপকারীকে পাল্লা দিয়ে টপকাতে তার ক্ষতি করতে পিছপা হই না। এই গল্পগুলো আমাদেরকে কিছু না কিছু নৈতিক জীবনবোধের শিক্ষা দিয়েই থাকে।

‘পাতালপুরীর রাজকন্যা মণিমালা’ গল্পে পাতালপুরী হলো সাপের রাজ্য। গল্পের প্রথম পর্বে দুই বন্ধুর মণি জয়ের কাহিনির পর শুরু হয় রাজপুত্র ও সর্পকন্যা মণিমালার প্রেম এবং মণিকে নিয়ে তাদের জীবনের উন্থান-পতনের নানা ঘটনা।

কোসাম্বী তাঁর ‘অ্যান ইনট্রোডাকশন টু দ্য স্টাডি অব ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি’ বইতে দেখিয়েছেন মাতৃগোত্র এবং পিতৃগোত্র নিয়ে টানাপোড়নের যুগসন্ধির সময়টাতে বিভিন্ন উপজাতিকে সাধারণভাবে নাগ বলে অভিহিত করা হত। গল্পটিতে অন্যের সম্পদ লুন্ঠন বিষয়টিও লক্ষণীয়- ‘মণির আলো মনির বাতি, ঢাক ঢোলে হাজার কাটি, রাজপুত্র মন্ত্রীপুত্র, মণিমালা আর রাজকন্যাকে লইয়া আপন দেশে চলিয়া গেলেন।’ পাতালপুরীর রাজকন্যা মণিমালা গল্পের মণিমালা চরিত্রের সাথে ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র মলুয়া পালার মলুয়া চরিত্রের সাথে একদিক থেকে সাদৃশ্য রয়েছে, মলুয়াকে যখন দেওয়ান ধরে নিয়ে যায় তখন মলুয়া নিজের সতীত্ব রক্ষা করার জন্য বলে সে ১২ মাসের ব্রত পালন করছে। আবার এই গল্পটিতে রাজার হাত থেকে রক্ষা পেতে মণিমালা ১ বছরের ব্রতের কথা বলে। উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা মণিমালা ও মহুয়া চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

আমরা প্রতিনিয়ত কত সমস্যায় জর্জরিত হই, আজ এই সমস্যা তো কাল ঐ সমস্যা। ছোটোবেলায় আমরা যখন রূপকথার গল্প শুনতাম তখন কত ডাইনী বুড়ি, দৈত্য-দানোর আক্রমণ ও কূট-চাল থেকে রাজকুমারী-রাজকুমারদেরকে নিজের বুদ্ধি বলে উদ্ধার হওয়ার কথা শুনতাম। আর সেখান থেকেই কীভাবে বিপদ এড়াতে হয়, কীভাবে সমস্যার সমাধান করতে হয় সেসবের প্রাথমিক শিক্ষা পাওয়া যায়। এ গল্পগুলো নতুন নতুন গল্প তৈরির প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে অর্থাৎ কাহিনির চরিত্র বিন্যস্ত করতে শেখায়। যার ওপর ভিত্তি করে অভিনব কাহিনি তৈরি করে বানানো হয় বিভিন্ন কার্টুন ও অ্যানিমেশন মুভি। শুধুমাত্র রূপকথার কাহিনি নয়, বিভিন্ন লোককাহিনি, পৌরানিক কাহিনি, পশু কাহিনিগুলোর (অন্যতম ঈশপের গল্প) অন্তর্নিহিত ভাব, শিক্ষা যেন জীবনেরই অংশ। শৈশবের ঘুমের দেশের ভূগোল থেকে যখন আমরা নির্বাসিত হই তখন শৈশবের রূপকথা আজকের বেলায় শুধুই রূপক হয়ে জেগে থাকে। আর মাথায় ঘুরতে থাকে হাজারও প্রশ্ন, কৌতূহলের ঝড়। একপাশে কল্পনা, অন্যপাশে বাস্তবতার ভিত্তি তো তখন থেকেই অঙ্কুরিত হয়। আর তাই তো রূপকথার গল্প সেকালের নয়, বরং এটি একালের ও আগতকালের মানুষের জীবন সম্পৃক্ত অঙ্গ।

রেফারেন্স

১. কে.এম বদিয়ার রহমান, ফোকলোর তত্ত্ব ও বাংলা লোকসাহিত্য, কথাশিল্প প্রকাশন, মার্চ ২০১৮                  
২. ‘উলুখাগড়া’, সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক, জুলাই-মে ২০১৬
৩. Helen Pilinovsky (2001). Donkeyskin, Deerskib, Allerleirauh :The Reality of the Fairy Tale
৪. Stone,Kay(1981), Marchen to Fairy Tale: An Unmagical Transformation, Western Folklore.
৫. Tatar,M(1987), The Hard Facts of the Grimms Fairy Tales
৬. https://tunerpage>com এনিমেশন মুভি মেগা পোস্ট।
৭. সেলিনা হোসেন, সাহিত্যে নারীর জীবন ও পরিসর, মাওলা ব্রাদার্স।
৮. Late Damodar Dharmanand Kosambi,An Introduction to the Study of Indian History, SAGE Publications, 2019.
৯. যে ৬ টি কারণে জীবনের জন্য প্রয়োজন রূপকথার গল্প, প্রিয় লাইফ, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বিজ্ঞাপন
আরমিন হোসেন

আরমিন হোসেন

এমএসএস অধ্যয়নরত (ফোকলোর বিভাগ)। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

লেখকের অন্যান্য লেখা

বিজ্ঞাপন


সদ্য প্রকাশিত

নেয়পায়াসাম
অনুবাদ

নেয়পায়াসাম

আদনান সহিদ
অক্টোবর ২২, ২০২০
0

[মালায়লাম ভাষার শীর্ষ কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে কমলা দাস (১৯৩৪-২০০৯) অন্যতম। তাঁর জন্ম কেরালার দক্ষিণ মালাবারের পুণ্যাউরকুলামের এক রক্ষণশীল পরিবারে। বাবার চাকুরিসূত্রে শৈশবের...

যতীনের লোক-জ্যোতি

যতীনের লোক-জ্যোতি

অক্টোবর ১৮, ২০২০
‘থিংস ফল অ্যাপার্ট’ : একটি উত্তর উপনিবেশীয় বিশ্লেষণ

‘থিংস ফল অ্যাপার্ট’ : একটি উত্তর উপনিবেশীয় বিশ্লেষণ

অক্টোবর ১০, ২০২০
ডেরেক ওয়ালকটের কবিতা

ডেরেক ওয়ালকটের কবিতা

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
বিষজন্ম বিষমৃত্যু

বিষজন্ম বিষমৃত্যু

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
কেঁদেও পাবে না তাকে

কেঁদেও পাবে না তাকে

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

এ মাসের সর্বাধিক পঠিত

ঢোঁড়াই চরিত মানস : প্রান্তিক মানুষের জীবনালেখ্য ও অধিকার-সচেতনার গল্প
বইকথা

ঢোঁড়াই চরিত মানস : প্রান্তিক মানুষের জীবনালেখ্য ও অধিকার-সচেতনার গল্প

সাফি উল্লাহ্
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
0

জীবন অন্বেষী ভারতীয় ঔপন্যাসিক সতীনাথ ভাদুড়ী (১৯০৬-১৯৬৫) রচিত অল্প-পঠিত অথচ বিষয়বস্তু ও রচনাশৈলীতে অনন্য উপন্যাস ‘ঢোঁড়াই চরিত...

শার্ল বোদলেয়ার : আধুনিক কবিতার পিতা

শার্ল বোদলেয়ার : আধুনিক কবিতার পিতা

জুলাই ১, ২০২০
জালাল উদ্দিন রুমির কবিতা

জালাল উদ্দিন রুমির কবিতা

জুলাই ২৯, ২০২০
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিদায় অভিশাপ’ : উপেক্ষিত প্রাচ্য পুরাণ এবং একটি বিতর্কিত বিনির্মাণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিদায় অভিশাপ’ : উপেক্ষিত প্রাচ্য পুরাণ এবং একটি বিতর্কিত বিনির্মাণ

জুলাই ৯, ২০২০

ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’ : নিষিদ্ধ কামনার ভিন্ন উপস্থাপন

জুলাই ৬, ২০২০
বিজ্ঞাপন
লেখা পাঠানোর ঠিকানা ও যোগাযোগ
pratiswik2020@gmail.com
অলংকরণ : মাকসুদুল হাকিম

প্রকাশিত লেখার বক্তব্য সম্পর্কিত দায় সংশ্লিষ্ট লেখকের

Design by OneHost BD ©2020 সর্বস্বত্ব সংরক্ষণকারী প্রাতিস্বিক

কিছু পাওয়া যায়নি
সব লেখা দেখুন
  • হোম
  • লেখকসূচি
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্প
    • উপন্যাস
  • নাটক
  • প্রবন্ধ
  • বইকথা
  • গদ্য
    • মুক্তগদ্য
    • অন্যগদ্য
  • অনুবাদ
  • চলচ্চিত্র
  • চিত্রকলা
  • সাক্ষাৎকার
  • অনূর্ধ্ব ২৭
  • বিশেষ সংখ্যা
  • সাহিত্য সংবাদ

© 2020 সর্বসত্ব সংরক্ষকারী প্রাতিস্বিক.